দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের ভবিষ্যৎ – ব্যাংক খাতে একীকরণ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে একীকরণ: শক্তিশালী ব্যাংকে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের ভবিষ্যৎ?

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে বর্তমানে ৫৬টি ব্যাংক রয়েছে, যা দেশের জিডিপির তুলনায় অনেক বেশি। এতো পরিমাণ ব্যাংক থাকার ফলে নियामক সংস্থা (regulator) দুর্বল ব্যাংকগুলোর মধ্যে একীকরণের পরিকল্পনা করেছে। তবে, এই একীকরণের ক্ষেত্রে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকরা কি শক্তিশালী ব্যাংকে একীভূত হওয়ার পরেও পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত, নন-performing লোন বৃদ্ধি, উচ্চ পরিচালনা ব্যয় ইত্যাদি সমস্যা থাকলে ব্যাংকগুলোকে দুর্বল বলে বিবেচনা করা হয়।

এই একীকরণের পেছনে কী কারণ রয়েছে, এবং দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই বিষয়ে এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।

একীকরণের কারণ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে এতো বেশি সংখ্যক ব্যাংক থাকার ফলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে லாভের মার্জিন কমে যায়। এছাড়াও, এতো বেশি ব্যাংকের তদারকি করা নियामক সংস্থার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে, দুর্বল ব্যাংকগুলো সহজেই নজর এড়িয়ে যেতে পারে। একীকরণের মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

একীকরণের প্রভাব

একীকরণের ফলে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল ব্যাংক গড়ে উঠতে পারে। এতে ऋणগ্রহণকারীদের (borrowers) সুদহার কমে আসতে পারে এবং ব্যাংকের லாভের পরিমাণও বাড়তে পারে। তবে, একীকরণের ফলে কিছু কিছু ব্যাংক কর্মী their jobs হারাতে পারেন। এছাড়াও, একীকরণের প্রক্রিয়াটি সাবধানে সম্পন্ন করতে না পারলে ব্যাংক খাতে অস্থिरতা সৃষ্টি হতে পারে।

দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের ভবিষ্যৎ

একীকরণের ক্ষেত্রে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, সাধারণত দুর্বল ব্যাংকের দুর্বল পরিচালনার জন্যই একীকরণের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, একীভূত হওয়ার পরে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের নতুন ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে অবস্থানের সম্ভাবনা কম। তবে, যদি তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা নতুন ব্যাংকের জন্য মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়, তাহলে হয়তো তাঁদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে।

শেষকথা

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে একীকরণ একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *