ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের ইতিহাস:

ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের ধারণা নতুন নয়। এর ইতিহাস প্রায় দেড় শতাব্দী পুরনো।

প্রাথমিক একীভূতকরণ (Early Mergers):

উনিশ শতকের মধ্যভাগে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের প্রথম ঢেউ দেখা যায়। শিল্পায়নের প্রসারের সাথে সাথে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য একে অপরের সাথে মিশে যেতে শুরু করে।

বিংশ শতাব্দীতে একীভূতকরণ (Mergers in the 20th Century):

বিংশ শতাব্দীতে ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের প্রবণতা আরও তীব্র হয়।

  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর (1919-1933) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় একীভূতকরণের ঢেউ দেখা যায়। এই সময়ে ছোট ছোট ব্যাংকগুলো বড় ব্যাংকের সাথে মিশে যায়, যা তাদের আরও মজবুত করে এবং জাতীয় বাজারে প্রসার লাভ করতে সাহায্য করে।
  • মহা মন্দা: মহা মন্দার সময় (1929-1939) অনেক দুর্বল ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের হার আরও বৃদ্ধি পায়।
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক দেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করা হয়। কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, এই সময়ে কিছু দেশে ব্যাংকগুলোকে একীভূত করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি কমানো।

একবিংশ শতাব্দীতে একীভূতকরণ (Mergers in the 21st Century):

একবিংশ শতাব্দীতে ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।

  • প্রযুক্তির প্রভাব: প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উত্থানের ফলে ব্যাংকগুলোর জন্য বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে অনেক ছোট ব্যাংক বড় ব্যাংকের সাথে মিশে যাচ্ছে।
  • বিশ্বায়ন: বিশ্বায়নের ফলে ব্যাংকগুলো বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার চেষ্টা করছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ব্যাংক একীভূতকরণের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট (Bangladesh in Context):

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, আমরা সাম্প্রতিককালে কিছু ব্যাংক একীভূতকরণের ঘটনা দেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *